জমিতে উৎপাদিত ফসলের উপর যাকাত ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসে সুস্পষ্ট দলিল রয়েছে। ইসলাম ধর্মে ফসলের যাকাত আদায় করার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হলো
وَهُوَ الَّذِي أَنْشَأَ جَنَّاتٍ مَعْرُوشَاتٍ وَغَيْرَ مَعْرُوشَاتٍ وَالنَّخْلَ وَالزَّرْعَ مُخْتَلِفًا أُكُلُهُ وَالزَّيْتُونَ وَالرُّمَّانَ مُتَشَابِهًا وَغَيْرَ مُتَشَابِهٍ كُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ إِذَا أَثْمَرَ وَآتُوا حَقَّهُ يَوْمَ حَصَادِهِ وَلا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী আনশাআ জান্নাতিন মাআরুশাতিন ওয়া গায়রা মাআরুশাতিন ওয়ান্নাখলা ওয়াজ্যার' মুকতালিফান উকুলুহু ওয়ায্যাইতূনা ওয়ার্রুম্মানা মুতাশাবিহাও ওয়া গায়রা মুতাশাবিহ, কুলূ মিম্মারীহি ইযা আসমারা ওয়া আতু হাক্কাহু ইয়াওমা হাসাদিহি ওয়ালা তুস্রিফূ ইন্নাহু লা ইউহিব্বুল মুস্রিফিন।
অর্থ:
আর তিনিই সেসব উদ্যান সৃষ্টি করেছেন যেগুলোর কিছু মাচায় তুলে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু মাচাবিহীন। আর খেজুরগাছ এবং শস্য, যেগুলোর স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন, আর যইতুন এবং ডালিম (তোমরা খাও) এর ফল যখন তা ফলে এবং এর হক আদায় করো যেদিন তা কাটা হয়। আর অপচয় করো না, নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।"
[সূরা আল-আন'আম, আয়াত ১৪১]
فِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ وَالعُيُونُ أَوْ كَانَ عَثَرِيًّا العُشْرُ، وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ العُشْرِ
উচ্চারণ:
ফিমা সাকাতিস সামাউ ওয়াল উইউন আও কান আছারিয়্যুন আল উশরু, ওয়া মা সুঙিয় বিননাদহি নিছফুল উশরি।
অর্থ:
যে ফসল বৃষ্টির পানি বা ঝরনা দ্বারা সেচ করা হয় তার জন্য (যাকাতের হার) দশভাগের একভাগ (১০%)। আর যা কৃত্রিম সেচের মাধ্যমে হয়, তার জন্য (যাকাতের হার) বিশভাগের একভাগ (৫%)।"
[সহিহ বুখারি]
وَفِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ، أَنَّهُ قَالَ: فِيمَا سَقَتْ السَّمَاءُ وَالْعُيُونُ أَوْ كَانَ بَعْلًا الْعُشْرُ، وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ الْعُشْرِ
উচ্চারণ:
ওয়াফি সহিহি মুসলিম, আন্নাহু কালা: ফিমা সাকাতিস সামাউ ওয়াল উয়ুন আও কান বালান আল উশরু, ওয়া মা সুঙিয় বিননাদহি নিছফুল উশরি।
অর্থ:
সহিহ মুসলিমে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) বলেছেন: যে ফসল বৃষ্টির পানি বা ঝরনা দ্বারা সেচ করা হয় তার জন্য (যাকাতের হার) দশভাগের একভাগ (১০%) । আর যা কৃত্রিম সেচের মাধ্যমে হয়, তার জন্য (যাকাতের হার) বিশভাগের একভাগ (৫%) ।
[সহিহ মুসলিম]
সারসংক্ষেপ
জমিতে উৎপাদিত ফসলের যাকাত ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ফসলের উপর যাকাতের হার নির্ভর করে সেচের পদ্ধতির উপর। প্রাকৃতিক সেচের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসলের জন্য যাকাতের হার হলো ১০%, আর কৃত্রিম সেচের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসলের জন্য যাকাতের হার হলো ৫%। কুরআন ও হাদিসে উল্লেখিত এই দলিলগুলো অনুসরণ করে মুসলমানরা তাদের জমিতে উৎপাদিত ফসলের যাকাত প্রদান করতে হবে।
কৃষি পণ্যের যাকাত ইসলামে একটি বাধ্যতামূলক ইবাদত এবং এটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও শর্তের অধীনে ফরজ হয়। যাকাতের হার নির্ভর করে সেচের পদ্ধতির উপর। এখানে কৃষি পণ্যের যাকাতের হিসাব ও পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্তাবলী -
নিসাব পরিমাণ ফসল
• যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য ফসলের পরিমাণ নিসাব পরিমাণ হতে হবে। নিসাব হলো ৫ ওয়াসক। ১ ওয়াসক হলো প্রায় ৬০ সা' (প্রাচীন আরবের পরিমাপ একক)। ১ সা' প্রায় ২.৪০ কেজি হিসাবে ধরা হয়। সুতরাং, ৫ ওয়াসক হলো প্রায় ৭২০ কেজি।
সেচের পদ্ধতি
• প্রাকৃতিক সেচ (বৃষ্টি, ঝরনা, নদী ইত্যাদি) দ্বারা সেচ করা হলে, যাকাতের হার হলো মোট ফসলের ১০%।
• কৃত্রিম সেচ (যেমনঃ পানি উত্তোলন, পাম্প ইত্যাদি) দ্বারা সেচ করা হলে, যাকাতের হার হলো মোট ফসলের ৫%।
উদাহরণস্বরূপ কৃষি পণ্যের যাকাতের হিসাব -
প্রাকৃতিক সেচ
যদি কোনো কৃষক ১০০০ কেজি ফসল উৎপাদন করে এবং তা প্রাকৃতিক সেচের মাধ্যমে হয়, তাহলে যাকাত হবে
• যাকাতের হার: ১০%
• যাকাতের পরিমাণ: ১০০০ কেজি × ১০% = ১০০ কেজি
কৃত্রিম সেচ
• যদি কোনো কৃষক ১০০০ কেজি ফসল উৎপাদন করে এবং তা কৃত্রিম সেচের মাধ্যমে হয়, তাহলে যাকাত হবে:
• যাকাতের হার: ৫%
• যাকাতের পরিমাণ: ১০০০ কেজি × ৫% = ৫০ কেজি
وَهُوَ الَّذِي أَنْشَأَ جَنَّاتٍ مَعْرُوشَاتٍ وَغَيْرَ مَعْرُوشَاتٍ وَالنَّخْلَ وَالزَّرْعَ مُخْتَلِفًا أُكُلُهُ وَالزَّيْتُونَ وَالرُّمَّانَ مُتَشَابِهًا وَغَيْرَ مُتَشَابِهٍ كُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ إِذَا أَثْمَرَ وَآتُوا حَقَّهُ يَوْمَ حَصَادِهِ وَلا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী আনশাআ জান্নাতিন মাআরুশাতিন ওয়া গায়রা মাআরুশাতিন ওয়ান্নাখলা ওয়াজ্যার' মুকতালিফান উকুলুহু ওয়ায্যাইতূনা ওয়ার্রুম্মানা মুতাশাবিহাও ওয়া গায়রা মুতাশাবিহ, কুলূ মিম্মারীহি ইযা আসমারা ওয়া আতু হাক্কাহু ইয়াওমা হাসাদিহি ওয়ালা তুস্রিফূ ইন্নাহু লা ইউহিব্বুল মুস্রিফিন।
অর্থ:
আর তিনিই সেসব উদ্যান সৃষ্টি করেছেন যেগুলোর কিছু মাচায় তুলে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু মাচাবিহীন। আর খেজুরগাছ এবং শস্য, যেগুলোর স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন, আর যইতুন এবং ডালিম (তোমরা খাও) এর ফল যখন তা ফলে এবং এর হক আদায় করো যেদিন তা কাটা হয়। আর অপচয় করো না, নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।
[সূরা আল-আন'আম, আয়াত ১৪১]
فِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ وَالعُيُونُ أَوْ كَانَ عَثَرِيًّا العُشْرُ، وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ العُشْرِ
উচ্চারণ:
ফিমা সাকাতিস সামাউ ওয়াল উইউন আও কান আছারিয়্যুন আল উশরু, ওয়া মা সুঙিয় বিননাদহি নিছফুল উশরি।
অর্থ:
যে ফসল বৃষ্টির পানি বা ঝরনা দ্বারা সেচ করা হয় তার জন্য (যাকাতের হার) দশভাগের একভাগ (১০%)। আর যা কৃত্রিম সেচের মাধ্যমে হয়, তার জন্য (যাকাতের হার) বিশভাগের একভাগ (৫%)।
[সহিহ বুখারি]
وَفِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ، أَنَّهُ قَالَ: فِيمَا سَقَتْ السَّمَاءُ وَالْعُيُونُ أَوْ كَانَ بَعْلًا الْعُشْرُ، وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ الْعُشْرِ
উচ্চারণ:
ওয়াফি সহিহি মুসলিম, আন্নাহু কালা: ফিমা সাকাতিস সামাউ ওয়াল উয়ুন আও কান বালান আল উশরু, ওয়া মা সুঙিয় বিননাদহি নিছফুল উশরি।
অর্থ:
সহিহ মুসলিমে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) বলেছেন: যে ফসল বৃষ্টির পানি বা ঝরনা দ্বারা সেচ করা হয় তার জন্য (যাকাতের হার) দশভাগের একভাগ (১০%)। আর যা কৃত্রিম সেচের মাধ্যমে হয়, তার জন্য (যাকাতের হার) বিশভাগের একভাগ (৫%)।
[সহিহ মুসলিম]
সারসংক্ষেপ
কৃষি পণ্যের যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য ফসলের পরিমাণ নিসাব পরিমাণ হতে হবে, যা প্রায় ৭২০ কেজি। প্রাকৃতিক সেচের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসলের জন্য যাকাতের হার হলো ১০%, আর কৃত্রিম সেচের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসলের জন্য যাকাতের হার হলো ৫%। কুরআন ও হাদিসে উল্লেখিত এই দলিলগুলো অনুসরণ করে মুসলমানরা তাদের জমিতে উৎপাদিত ফসলের যাকাত প্রদান করতে হবে।
খাজনার জমিতে উৎপাদিত শস্যের যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। জমির খাজনা (ভাড়া বা ট্যাক্স) পরিশোধের পর উৎপাদিত শস্যের উপর যাকাত ফরজ হয়। নিচে খাজনার জমিতে উৎপাদিত শস্যের যাকাতের বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
নিসাব পরিমাণ শস্য
• যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য শস্যের পরিমাণ নিসাব পরিমাণ হতে হবে। নিসাব হলো ৫ ওয়াসক (প্রায় ৭২০ কেজি)।
খাজনার পরিমাণ
• জমির খাজনা পরিশোধের পর যাকাতের হিসাব করতে হবে। যদি খাজনার পরিমাণ শস্য থেকে কেটে নেওয়া হয়, তবে বাকি শস্যের উপর যাকাত আদায় করতে হবে।
কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি
وَهُوَ الَّذِي أَنْشَأَ جَنَّاتٍ مَعْرُوشَاتٍ وَغَيْرَ مَعْرُوشَاتٍ وَالنَّخْلَ وَالزَّرْعَ مُخْتَلِفًا أُكُلُهُ وَالزَّيْتُونَ وَالرُّمَّانَ مُتَشَابِهًا وَغَيْرَ مُتَشَابِهٍ كُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ إِذَا أَثْمَرَ وَآتُوا حَقَّهُ يَوْمَ حَصَادِهِ وَلا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী আনশাআ জান্নাতিন মাআরুশাতিন ওয়া গায়রা মাআরুশাতিন ওয়ান্নাখলা ওয়াজ্যার' মুকতালিফান উকুলুহু ওয়ায্যাইতূনা ওয়ার্রুম্মানা মুতাশাবিহাও ওয়া গায়রা মুতাশাবিহ, কুলূ মিম্মারীহি ইযা আসমারা ওয়া আতু হাক্কাহু ইয়াওমা হাসাদিহি ওয়ালা তুস্রিফূ ইন্নাহু লা ইউহিব্বুল মুস্রিফিন।
অর্থ:
আর তিনিই সেসব উদ্যান সৃষ্টি করেছেন যেগুলোর কিছু মাচায় তুলে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু মাচাবিহীন। আর খেজুরগাছ এবং শস্য, যেগুলোর স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন, আর যইতুন এবং ডালিম (তোমরা খাও) এর ফল যখন তা ফলে এবং এর হক আদায় করো যেদিন তা কাটা হয়। আর অপচয় করো না, নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।
[সূরা আল-আন'আম, আয়াত ১৪১]
فِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ وَالعُيُونُ أَوْ كَانَ عَثَرِيًّا العُشْرُ، وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ العُشْرِ
উচ্চারণ:
ফিমা সাকাতিস সামাউ ওয়াল উইউন আও কান আছারিয়্যুন আল উশরু, ওয়া মা সুঙিয় বিননাদহি নিছফুল উশরি।"
অর্থ:
যে ফসল বৃষ্টির পানি বা ঝরনা দ্বারা সেচ করা হয় তার জন্য (যাকাতের হার) দশভাগের একভাগ (১০%)। আর যা কৃত্রিম সেচের মাধ্যমে হয়, তার জন্য (যাকাতের হার) বিশভাগের একভাগ (৫%)।"
[সহিহ বুখারি]
সারসংক্ষেপ
খাজনার জমিতে উৎপাদিত শস্যের উপর যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য শস্যের পরিমাণ নিসাব পরিমাণ হতে হবে (প্রায় ৭২০ কেজি)। সেচের পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে প্রাকৃতিক সেচের ক্ষেত্রে যাকাতের হার হলো ১০% এবং কৃত্রিম সেচের ক্ষেত্রে ৫%। খাজনা পরিশোধের পর অবশিষ্ট শস্যের উপর যাকাত আদায় করতে হবে। কুরআন ও হাদিসে উল্লেখিত এই দলিলগুলো অনুসরণ করে মুসলমানরা তাদের খাজনার জমিতে উৎপাদিত শস্যের যাকাত প্রদান করতে হবে।
ইসলামে কিছু নির্দিষ্ট শস্য এবং ফসলের উপর যাকাত ফরজ করা হয়েছে। যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য এই শস্যগুলোকে নিসাব পরিমাণে উৎপাদিত হতে হবে এবং সঠিক পদ্ধতিতে সেচ করা হতে হবে। নিচে কিছু সাধারণ শস্য এবং ফসলের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলোর উপর যাকাত ফরজ করা হয়েছে
গম
• গমের যাকাত ফরজ এবং এর পরিমাণ নিসাব পরিমাণে (প্রায় ৭২০ কেজি) পৌঁছালে যাকাত আদায় করতে হবে।
যব
• যবের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। নিসাব পরিমাণে উৎপাদিত হলে যবের উপর যাকাত ফরজ হয়।
খেজুর
• খেজুরের উপর যাকাত ফরজ এবং নিসাব পরিমাণে উৎপাদিত হলে যাকাত আদায় করতে হবে।
কিসমিস
• কিসমিসের উপর যাকাত ফরজ এবং এটি নিসাব পরিমাণে উৎপাদিত হলে যাকাত প্রদান করতে হবে।
ভুট্টা
• ভুট্টার উপর যাকাত ফরজ এবং নিসাব পরিমাণে উৎপাদিত হলে যাকাত আদায় করতে হবে।
চাল (ধান)
• চাল বা ধানের উপর যাকাত ফরজ এবং নিসাব পরিমাণে উৎপাদিত হলে যাকাত প্রদান করতে হবে।
আঙ্গুর
• আঙ্গুরের উপর যাকাত ফরজ এবং এটি শুকিয়ে কিসমিসে রূপান্তরিত হলে কিসমিসের মতো যাকাত আদায় করতে হবে।
وَهُوَ الَّذِي أَنْشَأَ جَنَّاتٍ مَعْرُوشَاتٍ وَغَيْرَ مَعْرُوشَاتٍ وَالنَّخْلَ وَالزَّرْعَ مُخْتَلِفًا أُكُلُهُ وَالزَّيْتُونَ وَالرُّمَّانَ مُتَشَابِهًا وَغَيْرَ مُتَشَابِهٍ كُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ إِذَا أَثْمَرَ وَآتُوا حَقَّهُ يَوْمَ حَصَادِهِ وَلا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ
উচ্চারণ:
ওয়া হুওয়াল্লাযী আনশাআ জান্নাতিন মাআরুশাতিন ওয়া গায়রা মাআরুশাতিন ওয়ান্নাখলা ওয়াজ্যার' মুকতালিফান উকুলুহু ওয়ায্যাইতূনা ওয়ার্রুম্মানা মুতাশাবিহাও ওয়া গায়রা মুতাশাবিহ, কুলূ মিম্মারীহি ইযা আসমারা ওয়া আতু হাক্কাহু ইয়াওমা হাসাদিহি ওয়ালা তুস্রিফূ ইন্নাহু লা ইউহিব্বুল মুস্রিফিন।
অর্থ:
আর তিনিই সেসব উদ্যান সৃষ্টি করেছেন যেগুলোর কিছু মাচায় তুলে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু মাচাবিহীন। আর খেজুরগাছ এবং শস্য, যেগুলোর স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন, আর যইতুন এবং ডালিম (তোমরা খাও) এর ফল যখন তা ফলে এবং এর হক আদায় করো যেদিন তা কাটা হয়। আর অপচয় করো না, নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।
[সূরা আল-আন'আম, আয়াত ১৪১]
فِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ وَالعُيُونُ أَوْ كَانَ عَثَرِيًّا العُشْرُ، وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ العُشْرِ
উচ্চারণ:
ফিমা সাকাতিস সামাউ ওয়াল উইউন আও কান আছারিয়্যুন আল উশরু, ওয়া মা সুঙিয় বিননাদহি নিছফুল উশরি।
অর্থ:
যে ফসল বৃষ্টির পানি বা ঝরনা দ্বারা সেচ করা হয় তার জন্য (যাকাতের হার) দশভাগের একভাগ (১০%)। আর যা কৃত্রিম সেচের মাধ্যমে হয়, তার জন্য (যাকাতের হার) বিশভাগের একভাগ (৫%)।
[সহিহ বুখারি]
وَفِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ، أَنَّهُ قَالَ: فِيمَا سَقَتْ السَّمَاءُ وَالْعُيُونُ أَوْ كَانَ بَعْلًا الْعُشْرُ، وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ الْعُشْرِ
উচ্চারণ:
ওয়াফি সহিহি মুসলিম, আন্নাহু কালা: ফিমা সাকাতিস সামাউ ওয়াল উয়ুন আও কান বালান আল উশরু, ওয়া মা সুঙিয় বিননাদহি নিছফুল উশরি।
অর্থ:
সহিহ মুসলিমে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) বলেছেন: যে ফসল বৃষ্টির পানি বা ঝরনা দ্বারা সেচ করা হয় তার জন্য (যাকাতের হার) দশভাগের একভাগ (১০%)। আর যা কৃত্রিম সেচের মাধ্যমে হয়, তার জন্য (যাকাতের হার) বিশভাগের একভাগ (৫%)।
[সহিহ মুসলিম]
সারসংক্ষেপ
যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট শস্য এবং ফসলের উপর যাকাত আদায় করতে হবে। এগুলোর মধ্যে গম, যব, খেজুর, কিসমিস, ভুট্টা, চাল, এবং আঙ্গুর অন্তর্ভুক্ত। ফসলের যাকাত নির্ভর করে সেচের পদ্ধতির উপর এবং নিসাব পরিমাণ শস্য উৎপাদিত হতে হবে। কুরআন ও হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী মুসলমানদের তাদের ফসলের যাকাত আদায় করতে হবে।