যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। যাকাত আর্থিক ইবাদতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা মুসলমানদের উপর আরোপিত হয়েছে। যাকাতের হুকুম এবং তার অবস্থান সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসের আলোকের ভিত্তিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
যাকাতের হুকুম
ফরজ ইবাদত -
• যাকাত ইসলামে ফরজ ইবাদত হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। এটি প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের উপর বাধ্যতামূলক, যারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক এবং সেই সম্পদ এক বছর ধরে মালিকানাধীন থাকে।
যাকাতের অবস্থান
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি -
• যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি, যা মুসলমানদের ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে সহায়তা করে। এটি মুসলিম সমাজের দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের সাহায্য করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে।
কুরআনের নির্দেশনা
কুরআনের অনেক স্থানে যাকাত প্রদানের গুরুত্ব এবং বিধান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ
উচ্চারণ:
ওয়া আকীমুস সালাতা ওয়া আতুয যাকাতা ওয়ারকাউ মা'আ আর-রাকিইন।
অর্থ:
নামাজ কায়েম কর এবং যাকাত প্রদান কর এবং রুকু কর তাদের সাথে যারা রুকু করে।
[সূরা আত-তাওবা (৯:১০৩)]
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ إِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَهُمْ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
উচ্চারণ:
খুজ মিন আমওয়ালিহিম সাদাকাতান তুতাহহিরুহুম ওয়া তুজাক্কিহিম বিহা ওয়া সাল্লি আলাইহিম ইন্না সালাতাকা সাকানুল লাহুম ওয়াল্লাহু সামীউন আলীম।
অর্থ:
তাদের সম্পদ থেকে সাদাকা (যাকাত) গ্রহণ করুন, এর মাধ্যমে আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং তাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করবেন এবং তাদের জন্য দোয়া করুন। আপনার দোয়া তাদের জন্য প্রশান্তির কারণ হবে। আর আল্লাহ শোনেন এবং জানেন।
হাদিসের নির্দেশনা
• হাদিসেও যাকাতের গুরুত্ব এবং তার অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন –
بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ
উচ্চারণ:
বুনিয়াল ইসলামু আলা খামসিন: শাহাদাতি আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ, ওয়া ইকামিস সালাতি, ওয়া ইতা’ইয যাকাতি, ওয়াল হাজ্জি, ওয়া সাওমি রামাদান।
অর্থ:
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত: এ সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল; নামাজ প্রতিষ্ঠা করা; যাকাত প্রদান করা; হজ পালন করা এবং রমজান মাসের রোজা রাখা।
[সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম]
যাকাতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
দারিদ্র্য বিমোচন
• যাকাত দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
আর্থিক সমতা
• যাকাত অর্থনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠা করে। এটি সমাজে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে এবং ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ফারাক কমায়।
সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা
• যাকাত সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক। এটি দারিদ্র্য, অসন্তোষ এবং সামাজিক অবিচার কমাতে সহায়তা করে।
সারসংক্ষেপ
যাকাত ইসলামে একটি ফরজ ইবাদত এবং এটি মুসলমানদের উপর বাধ্যতামূলক। এটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং কুরআন ও হাদিসে এর গুরুত্ব সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। যাকাত সমাজে অর্থনৈতিক সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে এবং দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষের সাহায্য করে। মুসলমানদের উচিত যাকাত প্রদান করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী, কিছু নির্দিষ্ট ধরণের সম্পদের উপর যাকাত ফরজ করা হয়েছে। এই সম্পদগুলো এক বছর ধরে মালিকানাধীন থাকলে এবং নিসাব পরিমাণে পৌঁছালে তার উপর যাকাত প্রদান করতে হয়। নিচে যেসব মালের উপর যাকাত ফরজ করা হয়েছে, সেগুলোর বিবরণ দেওয়া হলো -
নগদ অর্থ -
নগদ অর্থ, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা, সঞ্চয় এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সম্পদ যাকাতের আওতাভুক্ত। যদি এই সম্পদ নিসাব পরিমাণে পৌঁছায় এবং এক বছর ধরে থাকে, তাহলে এর উপর যাকাত প্রদান করতে হবে।
সোনা ও রূপা -
স্বর্ণ ও রূপার উপর যাকাত ফরজ। নিসাব পরিমাণ স্বর্ণের পরিমাণ হলো ৮৫ গ্রাম এবং রূপার জন্য ৫৯৫ গ্রাম। যদি কারো কাছে এই পরিমাণ স্বর্ণ বা রূপা থাকে এবং এক বছর ধরে থাকে, তাহলে যাকাত ফরজ হবে।
ব্যবসায়িক সম্পদ -
ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সংগৃহীত সম্পদ যেমন পণ্যদ্রব্য, দোকানের স্টক, ব্যবসায়িক ইনভেন্টরি ইত্যাদির উপর যাকাত ফরজ। এই সম্পদগুলির মূল্য নির্ধারণ করে তার উপর যাকাত প্রদান করতে হবে।
শস্য ও ফল -
কৃষি ফসল ও ফলের উপর যাকাত ফরজ। ইসলামে এক্ষেত্রে যাকাতের হার নির্ধারণ করা হয়েছে উৎপাদনের পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে। বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক পানি দিয়ে সেচকৃত জমির ফসলের উপর ১০% যাকাত এবং সেচযন্ত্র ব্যবহার করে সেচকৃত জমির ফসলের উপর ৫% যাকাত ফরজ।
খনিজ সম্পদ -
খনিজ সম্পদ যেমন সোনা, রূপা, তেল, গ্যাস ইত্যাদির উপর যাকাত ফরজ। খনির সম্পদ উত্তোলনের সময় একবারই এর যাকাত প্রদান করতে হবে এবং এর হার হলো ২০%।
গবাদি পশু -
গবাদি পশুর উপর যাকাত ফরজ। যাকাতের পরিমাণ ও নির্ধারণ নির্ভর করে পশুর সংখ্যার উপর। গবাদি পশুর মধ্যে গরু, মহিষ, উট, ভেড়া, ছাগল ইত্যাদির যাকাত প্রদান করতে হয়।
মূল্যবান ধাতু ও গহনা -
মূল্যবান ধাতু ও গহনা, যদি তা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য না হয়ে সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে রাখা হয়, তাহলে তার উপর যাকাত ফরজ। এর জন্য স্বর্ণ ও রূপার নিসাব প্রযোজ্য।
বিনিয়োগ -
বিনিয়োগের মাধ্যম যেমন শেয়ার, বন্ড, সঞ্চয়পত্র ইত্যাদির উপর যাকাত ফরজ। এসব সম্পদের বর্তমান বাজার মূল্য হিসাব করে তার উপর যাকাত প্রদান করতে হবে।
সারসংক্ষেপ -
যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত মালের উপর যাকাত প্রদান করতে হবে:
• নগদ অর্থ
• সোনা ও রূপা
• ব্যবসায়িক সম্পদ
• শস্য ও ফল
• খনিজ সম্পদ
• গবাদি পশু
• মূল্যবান ধাতু ও গহনা
• বিনিয়োগ
যাকাত ইসলামের একটি ফরজ ইবাদত এবং এটি মুসলমানদের উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক দায়িত্ব। যাকাত প্রদানের মাধ্যমে সমাজে অর্থনৈতিক সমতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির যাকাত প্রদানের বিধান নির্দিষ্ট কিছু শর্তের উপর নির্ভর করে। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা এবং সম্পদ পরিমাণের ভিত্তিতে যাকাত ফরজ হওয়ার বা না হওয়ার বিধান রয়েছে। নিচে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির যাকাতের শর্তাবলী
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া -
• যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য ব্যক্তির নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হবে। নিসাব হলো ন্যূনতম সম্পদের পরিমাণ যা যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য প্রয়োজন। বর্তমানে নিসাবের মান হলো ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ বা ৫৯৫ গ্রাম রূপা বা এর সমপরিমাণ সম্পদ।
এক বছর পূর্ণ হওয়া (হাওলানুল হাওল) -
• যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদ এক পূর্ণ হিজরি বছর (হাওল) ধরে মালিকানায় থাকতে হবে।
ঋণের হিসাব -
যদি একজন ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হন কিন্তু তার ঋণ থাকে, তাহলে তার যাকাত প্রদানের জন্য ঋণের হিসাব করা প্রয়োজন। এখানে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে
স্বল্পমেয়াদী ঋণ -
• যদি ব্যক্তির ঋণ স্বল্পমেয়াদী হয় এবং তিনি শীঘ্রই তা পরিশোধ করবেন, তাহলে যাকাত প্রদানের আগে সেই ঋণ মাইনাস করতে হবে। যদি মাইনাস করার পর অবশিষ্ট সম্পদ নিসাব পরিমাণে পৌঁছে, তাহলে তার উপর যাকাত ফরজ হবে।
দীর্ঘমেয়াদী ঋণ -
• যদি ব্যক্তির ঋণ দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং তিনি ধাপে ধাপে পরিশোধ করবেন, তাহলে শুধুমাত্র এক বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য ঋণের পরিমাণ মাইনাস করতে হবে। অবশিষ্ট সম্পদ নিসাব পরিমাণে পৌঁছে গেলে তার উপর যাকাত ফরজ হবে।
সারসংক্ষেপ -
যদি একজন ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হন এবং তার উপর এক বছর পূর্ণ হয়, তবে তার উপর যাকাত ফরজ হবে। যাকাত প্রদানের আগে ব্যক্তির ঋণ মাইনাস করতে হবে। স্বল্পমেয়াদী ঋণ এবং দীর্ঘমেয়াদী ঋণের এক বছরের পরিশোধযোগ্য পরিমাণ মাইনাস করার পর অবশিষ্ট সম্পদ নিসাব পরিমাণে পৌঁছালে তার উপর যাকাত ফরজ হবে। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে এই নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে।
ইসলামি শরিয়তে যাকাত একটি বাধ্যতামূলক ইবাদত যা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে মুসলমানদের উপর ফরজ হয়। সাধারণত, যাকাত আদায়ের জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদ এক পূর্ণ হিজরি বছর (হাওল) ধরে মালিকানায় থাকতে হয়। তবে বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই যাকাত আদায় করার অনুমতি রয়েছে।
বছর পূর্ণ হওয়ার আগে যাকাত আদায়ের বিধান
আগ্রিম যাকাত প্রদান -
• ইসলামে বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই যাকাত প্রদান করা জায়েজ (বৈধ)। এটি "আগ্রিম যাকাত প্রদান" নামে পরিচিত। যদি একজন মুসলমান মনে করেন যে তার নিসাব পরিমাণ সম্পদ এক বছর ধরে মালিকানায় থাকবে, তবে তিনি আগেই যাকাত প্রদান করতে পারেন।
কুরআন ও হাদিসের দলিল -
ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত -
আল-আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে জিজ্ঞাসা করলেন আগ্রিম যাকাত প্রদানের বিষয়ে। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে অনুমতি দিলেন।
[আবু দাউদ, তিরমিজি]
হাদিসের ব্যাখ্যা -
এই হাদিসটি প্রমাণ করে যে, আগ্রিম যাকাত প্রদান করা বৈধ এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজেও তা অনুমোদন করেছেন।
আগ্রিম যাকাত প্রদানের নিয়মাবলী -
যাকাতের হিসাব সঠিকভাবে করা -
• যাকাত প্রদানের সময় মোট সম্পদ, ঋণ ও দায় বিবেচনা করে সঠিকভাবে যাকাতের হিসাব করতে হবে।
নিয়ত -
• যাকাত প্রদান করার সময় সঠিক নিয়ত থাকা আবশ্যক। নিয়ত হল যে, এই অর্থ যাকাত হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।
বন্টনের নিয়ম মেনে চলা -
• যাকাতের অর্থ যাদের মধ্যে বণ্টন করা যায় তাদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে। কুরআনের সূরা আত-তাওবার আয়াত ৬০-এ উল্লেখিত আটটি খাতের মধ্যে বণ্টন করতে হবে।
সারসংক্ষেপ -
ইসলামি শরিয়তে বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই যাকাত আদায় করা জায়েজ। এটি আগ্রিম যাকাত প্রদান হিসেবে পরিচিত। আগ্রিম যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে সঠিক হিসাব করা, নিয়ত করা এবং যাকাতের বন্টনের নিয়মাবলী মেনে চলা আবশ্যক। যাকাতের মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষের সাহায্য করা এবং সমাজে অর্থনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাই যাকাত আদায়ে সময়ানুবর্তিতা এবং সতর্কতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী যাকাত একটি ফরজ ইবাদত, যা নিসাব পরিমাণ সম্পদ মালিকানায় এক বছর ধরে থাকলে ২.৫% হারে প্রদান করতে হয়। যাকাত ফরজ হওয়া ছাড়াও ইসলামি শরিয়তে অতিরিক্ত দান (সদকা, খয়রাত) করার গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। যাকাতের নির্দিষ্ট অংশের চেয়ে বেশি দান করা ইসলামে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং তা সওয়াবের কাজ।
কুরআন ও হাদিসের দলিল -
مَثَلُ الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ