কোন্ কোন্ পশু দ্বারা কোরবানি করা যাবে

রাসুল (সা.) উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ছাড়া অন্য কোনো পশু কোরবানি করেননি কিংবা অনুমোদনও করেননি। তাই এসব পশু দিয়েই কোরবানি করা সুন্নাত। শরিয়তের পরামর্শ হল, হৃষ্টপুষ্ট, বেশি গোশত, নিখুঁত এবং দেখতে সুন্দর পশু কোরবানি

কোরবানির পশুর বয়সসীমা

একটি হাদীসে আছে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন-

لا تَدْعُوا إِلَّا مُسِنَّةٌ إِلَّا أَنْ يَعْسُرَ عَلَيْكُمْ فَتَذْبَحُوا جَذَعَةً مِنَ الضَّأْنِ

বন্ধ্যা পশু কোরবানি করার হুকুম 

বন্ধ্যা পশু কোরবানি করা জায়েয; নিষেধ নয়। বন্ধ্যা হওয়া কোরবানির জন্যে দোষ নয়। যেমনিভাবে খাসী হওয়া এবং সঙ্গমে অপারগ হওয়া কোরবানির জন্যে দোষ নয়। বন্ধ্যা পশু (যেটার বাচ্চা হয় না) সাধারণত হৃষ্টপুষ্ট হতে থাকে। তার গোশত ভালো। অনেক বয়স হওয়ার পরও যদি কোনো মাদী পশু বাচ্চা না দেয়, তাহলে সেটা কোরবানি করা জায়েয।

পশু কেনার পর দোষ দেখা দিলে

কুরবানীর নিয়তে ভালো পশু কেনার পর যদি তাতে এমন কোনো দোষ দেখা দেয় যে কারণে কুরবানী জায়েয হয় না তাহলে ওই পশুর কুরবানী সহীহ হবে না। এর স্থলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। তবে ক্রেতা গরীব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারাই কুরবানী করতে পারবে।&nbsp;

কান বা লেজ কাটা পশুর কুরবানী

যে পশুর লেজ বা কোনো কান অর্ধেক বা তারও বেশি কাটা সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। আর যদি অর্ধেকের বেশি থাকে তাহলে তার কুরবানী জায়েয। তবে জন্মগতভাবেই যদি কান ছোট হয় তাহলে অসুবিধা নেই।

যে পশুর শিং ভেঙ্গে বা ফেটে গেছে

যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে, যে কারণে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। পক্ষান্তরে যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি সে পশু কুরবানী করা জায়েয।

খোড়া পশুর কুরবানী

যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না এমন পশুর কুরবানী জায়েয নয়।

রুগ্ন ও দুর্বল পশুর কুরবানী

এমন শুকনো দুর্বল পশু, যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না তা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়।