মেরাজের রাতে আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে প্রথমে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ দেন। তবে পরে মুসা (আঃ)-এর পরামর্শে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আল্লাহর কাছে নামাজের সংখ্যা কমানোর অনুরোধ করেন এবং শেষ পর্যন্ত এটি ৫ ওয়াক্তে নির্ধারিত হয়। তবে আল্লাহ তাআলা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার ফলে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
হাদিসের বর্ণনা -
এই বিষয়ে বিভিন্ন হাদিস বর্ণিত হয়েছে। সহীহ বুখারি ও মুসলিমে উল্লেখিত হাদিস থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
"মেরাজের রাতে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং আল্লাহ তাকে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ দেন। পরবর্তীতে মুসা (আঃ)-এর পরামর্শে আল্লাহ তা ৫ ওয়াক্তে কমিয়ে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, 'এই ৫ ওয়াক্ত নামাজ ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সমান হবে এবং আমার কথা কখনও পরিবর্তিত হয় না।'"
[সহীহ বুখারি - ৩৪৯]
সওয়াবের ব্যাখ্যা-
আল্লাহর করুণা এবং দয়া এমন যে, তিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পরও ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব প্রদান করেন। এর ব্যাখ্যা নিম্নরূপ হতে পারে:
আল্লাহর অনুগ্রহ: আল্লাহর অনুগ্রহ অপরিসীম। তিনি তাঁর বান্দাদের উপর সহজসাধ্য ইবাদতের মাধ্যমে অধিক সওয়াব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
মহান প্রজ্ঞা: আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব এবং প্রজ্ঞা অনুযায়ী, তিনি তাঁর বান্দাদের অল্প ইবাদতের মাধ্যমে অধিক পুরস্কার প্রদান করতে সক্ষম।
নিয়তের মূল্য: ইসলামে নিয়ত বা উদ্দেশ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন একজন মুসলিম সঠিক নিয়তে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন, আল্লাহ তার উদ্দেশ্য এবং ইবাদতের মূল্যায়ন করেন এবং তাকে অধিক সওয়াব প্রদান করেন।
উপসংহার -
৫ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব পাওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ করুণা এবং দয়া। এটি মুসলিমদের জন্য একটি বড় প্রেরণা এবং পুরস্কার। আল্লাহর আদেশ এবং প্রজ্ঞা অনুযায়ী, এই বিধান মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বড় নিয়ামত হিসেবে গণ্য হয়।