গুরুত্ব:
ফজরের সালাত মুসলিমদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের প্রথম। এটি ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের অন্যতম এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কুরআনের আলোকে আল্লাহ তাআলা বলেন -
إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا
উচ্চারণ :
ইন্না কুরআনাল ফাজরি কানা মাশহুদা
অর্থ :
নিশ্চয়ই ফজরের কুরআন পাঠ সাক্ষ্যযুক্ত।
[সূরা আল-ইসরা, ১৭:৭৮]
হাদিসের আলোকে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন -
مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ
উচ্চারণ :
মান্ সাল্লাস্ সুবহা ফাহুওয়া ফি জিম্মাতিল্লাহ
অর্থ :
যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে, সে আল্লাহর রক্ষা কবচে থাকে।
[সহীহ মুসলিম, ৬৫৭]
ফজিলত -
যোহরের সালাতের গুরুত্ব ও ফজিলত
গুরুত্ব:
যোহরের সালাত মুসলিমদের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের দ্বিতীয়। এটি দিন মধ্যের সালাত এবং এটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
কুরআনের আলোকে, আল্লাহ তাআলা বলেন
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى
উচ্চারণ:
হাফিজু 'আলাস্ সালাওয়াতি ওয়াস্ সালাতিল ওস্তা
অর্থ:
তোমরা সালাতগুলোর এবং মধ্যম সালাতের রক্ষা করো।
[সূরা আল-বাকারা, ২:২৩৮]
হাদিসের আলোকে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عَمَلِهِ صَلَاتُهُ
উচ্চারণ:
ইন্না আউওয়ালা মা ইউহাসাবু বিহিল 'আবদু ইয়াওমাল কিয়ামাতি মিন 'আমালিহি সালাতুহু
অর্থ:
কেয়ামতের দিন মানুষের প্রথম প্রশ্ন করা হবে তার সালাত সম্পর্কে।
[তিরমিজি, ২৬১]
ফজিলত:
গুরুত্ব:
আসরের সালাত মুসলিমদের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের তৃতীয়। এটি বিকেলের সালাত এবং আল্লাহর রক্ষার একটি বিশেষ মাধ্যম।
কুরআনের আলোকে, আল্লাহ তাআলা বলেন
وَالْعَصْرِ. إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ
উচ্চারণ:
ওয়াল'আসর। ইন্নাল্ ইন্সানালাফি খুসর।
অর্থ:
সময়ের কসম! নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।
[সূরা আল-আসর, ১০৩:১-২]
হাদিসের আলোকে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
مَنْ تَرَكَ صَلَاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ
উচ্চারণ:
মান্ তারাকা সালাতাল 'আসর ফাকাদ হাবিত্বা 'আমালুহু
অর্থ:
যে ব্যক্তি আসরের সালাত ছেড়ে দেয়, তার সব কাজ বিফল হয়ে যায়।
[সহীহ বুখারি, ৫৫৩]
ফজিলত:
গুরুত্ব:
মাগরিবের সালাত মুসলিমদের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের চতুর্থ। এটি সূর্যাস্তের পর আদায় করা হয়।
হাদিসের আলোকে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
مَنْ صَلَّى الْبَرْدَيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ
উচ্চারণ:
মান্ সাল্লাল বার্দায়নী দাখালাল জান্নাহ
অর্থ:
যে ব্যক্তি দুই ঠান্ডা সালাত (ফজর ও মাগরিব) আদায় করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
[সহীহ বুখারি, ৫৭৪]
ফজিলত:
গুরুত্ব:
এশার সালাত মুসলিমদের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের পঞ্চম। এটি রাতের সালাত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি বিশেষ উপায়।
হাদিসের আলোকে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ
উচ্চারণ:
মান্ সাল্লাল 'ইশা ফি জামাআতিন ফাকা'ান্নামা কামা নিসফাল লাইল
অর্থ:
যে ব্যক্তি এশার সালাত জামাতে আদায় করে, সে যেন অর্ধরাত ইবাদত করল।
[সহীহ মুসলিম, ৬৫৬]
ফজিলত:
গুরুত্ব:
জুমার সালাত প্রতি শুক্রবার মুসলিমদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
কুরআনের আলোকে, আল্লাহ তাআলা বলেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ
উচ্চারণ:
ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানু ইযা নুদিয়া লিস্ সালাতি মিয়াওমিল জুম'আতি ফাসআউ ইলা যিকরিল্লাহি ওয়া যারুল বাই'।
অর্থ:
হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর।
[সূরা আল-জুম'আ, ৬২:৯]
হাদিসের আলোকে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، فِيهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيهِ أُدْخِلَ الْجَنَّةَ، وَفِيهِ أُخْرِجَ مِنْهَا، وَلَا تَقُومُ السَّاعَةُ إِلَّا فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ
উচ্চারণ:
খাইরু ইয়াউমিন্ ত্বল'আত ফিহিশ্ শামসু ইয়াউমুল্ জুম'আ, ফিহি খুলিকা আদাম, ওয়া ফিহি উদ্খিলাল্ জান্নাহ, ওয়া ফিহি উখ্রিযা মিন্হা, ওয়া লা তাকুমুস্ সা'আতু ইল্লা ফি ইয়াউমিল্ জুম'আ।
অর্থ:
সবচেয়ে উত্তম দিন যেদিন সূর্য উদিত হয়, তা হলো জুমার দিন। এই দিনে আদাম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করা হয়েছে, জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।
[সহীহ মুসলিম, ৮৫৪]
ফজিলত:
· জুমার সালাত আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভের একটি মাধ্যম।
· এটি মুসলমানদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করে।
· জুমার সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।