একজন মানুষের জীবনে কখন থেকে সালাত ফরয হয়? বিষয়টি জানা জরুরী। কেননা দিন দিন আমাদের বয়স বৃদ্ধি হলেও সালাত আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। যা একজন মুসলিম হিসেবে কখন কাম্য নয়! চলুন, জেনে নেওয়া যাক কখন থেকে সালাত আদায় করতে হয়। প্রথমিক কথা হচ্ছে, ব্যাক্তি কয়েকটি বিষয় পূর্ণ করলে তার উপর সালাত ফরয হয়ে যায়।
যেমন -
মুসলিম হওয়া: সালাত ফরয হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত বা আবশ্যক বিষয় হল ব্যক্তিকে মুসলিম হতে হবে। কেননা অবিশ্বাসী বা অমুসলিমদের উপর এই বিধান নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন...
وَ مَنۡ یَّبۡتَغِ غَیۡرَ الۡاِسۡلَامِ دِیۡنًا فَلَنۡ یُّقۡبَلَ مِنۡهُ
অর্থ:
আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন চায় তবে তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না।
[আলে ইমরান- ৩/৮৫; তওবা - ৯/১৭]
জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া: কোন পাগল বা যে ব্যক্তির পূর্ণ জ্ঞান নেই তার উপর সালাত ফরয নয়। যদি ব্যক্তি জ্ঞানবান হন তবে তার উপর সালাত ফরয হবে। রাসূল (সাঃ) বলেন –
رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَبْلُغَ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يعقل
অর্থ:
তিন ব্যক্তি (কিয়ামত দিবসে) দায়-দায়িত্বমুক্ত।
• ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে না ওঠা পর্যন্ত।
• অপ্রাপ্তবয়স্ক বালেগ না হওয়া পর্যন্ত এবং
• নির্বোধ ব্যক্তি (বুদ্ধি-বিবেচনার) জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত।
[তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত - ৩২৮৭]
বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়া: মুসলিম ব্যক্তি প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার উপর সালাত ফরয হয়। কেননা শিশুর উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। অর্থ্যৎ তার পাপ লিখা হবে না। সেজন্য বালেগ ব্যক্তির উপর এটি ফরয। যা ছোট বয়স থেকেই অভ্যাস করতে হয়। রাসূল (সাঃ) বলেন -
مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ سِنِين وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ
অর্থ:
যখন তোমার সন্তানদের বয়স সাত বছরে পৌঁছবে তখন তাদেরকে সালাত আদায়ের জন্য নির্দেশ দিবে। আর তাদের শাস্তি দিবে যখন তারা দশ বছরে পৌঁছবে এবং তাদের ঘুমানোর স্থান পৃথক করে দিবে।
[আহমাদ, আবুদাঊদ]