শুধুমাত্র সন্দেহের কারণে সেজদায়ে সাহু আদায় করতে হবে না বরং না করা উচিৎ। যদি কেউ করে ফেলে তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে। দ্বিতীয় বার পড়তে হবে না।
[ফতোয়ায়ে শামী]
যদি ইমাম সাহেবের ওপর ওয়াজিব হয় আর তা তিনি আদায় করতে ভুলে যান তাহলে মুক্তাদীদের উচিৎ তাকে স্বরণ করিয়ে দেওয়া। মুক্তাদীদের উপর সেজদায়ে সাহু করা ওয়াজিব নয়। তবে ঐ নামাজকে পুনরায় পড়া ওয়াজিব।
[ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া]
হ্যাঁ, ইমাম সেজদায়ে সাহু করার পর কেউ জামাতে শরীক হলে তার ইকতেদা সহীহ হবে। সে বসে তাশাহহুদ পড়বে এবং ইমাম সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে বাকী নামাজ পূর্ণ করবে।
[ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া]
এমন ব্যক্তির জন্য সতর্কতামূলক সেজদায়ে সাহু করে নেয়া উত্তম।
[ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ]
চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজের শেষ দুই রাকাতে ভুলবশত সুরা মিলালে সেজদায়ে সাহু করতে হবে না।
[ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া]
হ্যাঁ, একই রাকাতে একাধিক বার সুরা ফাতেহা পড়লে সেজদায়ে সাহু করা আবশ্যক।
[ফতোয়ায়ে শামী]
যদি জামাত এতো ছোট হয় যে, ইমাম সেজদায়ে সাহু করলে মুসল্লিরা বুঝতে পারবে। তাহলে সেজদায়ে সাহু করবে। আর যদি জামাত বড় হয় এবং মুসল্লিগণ বিভ্রান্তিতে পড়ার আশংকা হয় তাহলে সেজদায়ে সাহু করবে না।
[ফতোয়ায়ে শামী]
যদি জামাত এতো ছোট হয় যে, ইমাম সেজদায়ে সাহু করলে মুসল্লিরা বুঝতে পারবে। তাহলে সেজদায়ে সাহু করবে। আর যদি জামাত বড় হয় এবং মুসল্লিগণ বিভ্রান্তিতে পড়ার আশংকা হয় তাহলে সেজদায়ে সাহু করবে না।
[ফতোয়ায়ে শামী]
সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হওয়ার মূল নীতি হল এই যে, অর্থাৎ ফরয ও ওয়াজিব বিলম্ব করার দ্বারা এবং ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার দ্বারা। এসমস্ত কারণে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়।
[আলমগিরী]
সেজদায়ে সাহু আদায় করার পদ্ধতি হলো, শেষ বৈঠকে শুধু তাশাহহুদ পড়ে ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে দুইটি সেজদা করবে এবং পুনরায় তাশাহহুদ পড়বে, দরুদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছুরা পড়বে। এরপর সালাম ফিরাবে।
[ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া]
যখন স্বরণ হবে তখন সেজদাটি করে নিবে এবং নিয়ম অনুযায়ী সেজদায়ে সাহু করে নিবে।
[ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া]
হ্যাঁ, সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। কারণ দোয়ায়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব।
[ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া]
নামাজের মধ্যে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হলে ভুলে তা আদায় করতে না পারলে নামাজ পুনরায় পড়া ওয়াজিব।
[ফতোয়ায়ে শামী]