যে সমস্ত নামাজের কাজা আদায় করতে হয় তা হলো, ফরয, ওয়াজিব, বেতের, মান্নতের নামাজ এবং যে সকল নামাজ শুরু করে ভেঙ্গে দিয়েছে। এই সমস্ত নামাজ যদি সময় মত আদায় করতে না পারে তাহলে পরে পড়ে নেওয়া আবশ্যক।
[ফতোয়ায়ে শামী]
না, সুন্নতে মুয়াক্কাদা যথা’ যোহরের বা এশার সুন্নতে মুয়াক্কাদা সময় মত পড়তে না পারলে পরে কাজা করা আবশ্যক নয়। কারণ, সুন্নত নফলের কাজা নেই।
[বাহরুর রায়েক]
হ্যাঁ, যে সমস্ত নামাজ কাজা হয়ে গিয়েছে ঐ সমস্ত নামাজ কাজা পড়া ও নিয়ত উভয়টিই আবশ্যক। যেমন ওজর নামাজ পড়ার সময় এভাবে নিয়ত করবে যে, আমার জীবনের যে সমস্ত ফজরের নামাজ কাজা হয়েছে তার প্রথম ফজরের নামাজ আদায় করছি।
[ফতোয়ায়ে শামী]
শরয়ী কোনো ওযর ছাড়া নামাজ কাজা করা কবিরা গুনাহ। তবে ঐ নামাজ কাজা করা ও খাঁটি দিলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া আবশ্যক। যেন আর কাজা না হয়ে যায়।
[ফতোয়ায়ে শামী, কাশফুল আসরার]
কাজা নামাজ আদায় করার পদ্ধতিও আদা নামাজের মত। উভয় নামাজের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।[ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া]
হ্যাঁ, জাহরী নামাজ যদি কাজা হয়ে যায় এবং জামাতের সাথে আদায় করতে হয় তাহলে তা জাযেয় আছে। কেরাত আওয়াজ দিয়ে পড়বে
[নামাজের মাসায়েল]
রাত দিন চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে তিনটা সময় নামাজ পড়া নিষেধ। কাজা, নফল সব নামাজই পড়া নিষেধ।
[ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া]
যদি কোনো ব্যক্তি মসজিদে বসে একাকী কাজা নামাজ পড়তে চায় তাহলে আজান ও একামত দিতে হবে না।
[ফতোয়ায়ে শামী]
জীবিত থাকা অবস্থায় কাজা নামাজের ফিদিয়া দেওয়া যাবে না। বরং নামাজ পড়ে নিবে। তবে কাজা রেখে মারা গেলে ফিদিয়া দিয়ে দিবে।
[ফতোয়ায়ে শামী]
যদি কারো জিম্মায় কাজা নামাজ থাকে তাহলে তা যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি পড়ে নিবে। কাজা নামাজ থাকা অবস্থায় নফল নামাজ পড়বে না। কারণ, আখেরাতে নফল নামাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না। আর ফরজ নামাজ সম্পর্কে শুধু প্রশ্নই করা হবে না, বরং শাস্তিও হবে।
[ফতোয়ায়ে শামী]
হ্যাঁ, কাজা নামাজ গোপনে পড়তে হয়। কারণ, নামাজ কাজা করা একটি গুনাহের কাজ। আর কোন গুনাহ সম্পর্কে মানুষকে প্রকাশ করে দেওয়াও গুনাহ (মাকরুহে তাহরিমি)।
[ফতোয়ায়ে শামী]