জুমুআহ যেমন শহরবাসীর জন্য ফরয, তেমনি ফরয গ্রামবাসীর জন্যও। এর জন্য খলীফা হওয়া, শহর হওয়া, জামে মসজিদ হওয়া বা ৪০ জন নামাযী হওয়া শর্ত নয়। বরং যেখানেই স্থানীয় স্থায়ী বসবাসকারী জামাআত পাওয়া যাবে, সেখানেই জুমুআহ ফরয।
[মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ২২/৭৫, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৪২৪]
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘নবী (ﷺ)-এর মসজিদে জুমুআহ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ইসলামে সর্বপ্রথম যে জুমুআহ প্রতিষ্ঠিত হয়, তা হল বাহ্রাইনের জুয়াষা নামক এক গ্রামে।’
[বুখারী ৮৯২, ৪৩৭১, আবূদাঊদ, সুনান ১০৬৮নং]
হযরত ইবনে উমার (রাঃ) মক্কা মুকার্রামা ও মদ্বীনা নববিয়ার মধ্যবর্তী পথে অবস্থিত ছোট ছোট জনপদে জুমুআহ প্রতিষ্ঠিত হতে লক্ষ্য করতেন। তিনি তাতে কোন আপত্তি জানাতেন না। (আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ)
হযরত উমার (রাঃ) বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক, সেখানেই জুমুআহ পড়।’
[আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ, তামামুল মিন্নাহ্, আলবানী ৩৩২পৃ:]
পক্ষান্তরে পাড়া-গ্রামে জুমুআহ হবে না বলে হযরত আলী কর্তৃক যে হাদীস বর্ণনা করা হয়, তা সহীহ নয়।
[মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৬/৩৫২-৩৫৪, ২২/৭৫]
কোন অমুসলিম দেশে পড়াশোনা বা চাকরী করতে গিয়ে সেখানে মসজিদ না থাকলে বা যথেষ্ট সংখ্যক মুসলিম না থাকলেও ৩ জনেই যে কোন রুমে জুমুআহ কায়েম হবে।
[মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৫/৮৫]
একই বড় গ্রাম বা শহরে বিচ্ছন্নতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়, বরং মসজিদ সংকীর্ণ হওয়ার কারণে, অথবা দূর হওয়ার কারণে, অথবা ফিতনা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় প্রয়োজনে একাধিক মসজিদে জুমুআহ কায়েম করা যায়।
[মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৮/১১১, ১৯/১৬৫-১৬৬]
কোন মসজিদে জুমুআহ পড়ার জন্য নির্মাণের সময় ঐ নিয়ত শর্ত নয়। অক্তিয়ারুপে নির্মাণের পর প্রয়োজনে সেখানে জুমুআহ পড়া যায়।
[মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৮/১১০]