জুমআর জমায়েত মুসলিমদের একটি প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র। সাপ্তাহিক এই প্রশিক্ষণে মুসলিমের বিস্মৃত কথা স্মরণ হয়, চলার পথে অন্ধকারে আলোর দিশা পায়, সুন্দর চরিত্র ও ব্যবহার গড়তে সহায়তা পায়, ঈমান নবায়ন হয়, হৃদয় নরম হয়, মৃত্যু ও পরকালের স্মরণ হয়, তওবা করতে অনুপ্রাণিত হয়, ভালো কাজ করতে এবং খারাপ কাজ বর্জন করতে উৎসাহ্ পায়, ইত্যাদি।
তাই খুতবার ভূমিকা আরবীতে হওয়ার পর স্থানীয় ভাষায় বাকী খুতবা পাঠ বৈধ। যেহেতু খুতবার আসল উদ্দেশ্য হল জনসাধারণকে শরীয়তের শিক্ষা ও উপদেশ দান করা। আর তা আরবীতে হলে উদ্দেশ্য বিফল হয়। সুতরাং যে খুতবা আরবীতে হত তারই ভাবার্থ স্থানীয় ভাষায় হলে মুসলিমদেরকে সপ্তাহান্তে একবার উপদেশ ও পথ নির্দেশনা দান করার মত মহান উদ্দেশ্য সাধিত হয়। পক্ষান্তরে খুতবা নামাযের মত নয়। নামাযে অন্য ভাষা বললে নামায বাতিল। কিন্তু খুতবা তা নয়। যেমন খুতবা ছেড়ে অন্য কথা বলা যায়, নামাযে তা যায় না। ইত্যাদি।
[ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৪২২-৪২৩, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৫/৮৪]
পক্ষান্তরে খুতবার আগে স্থানীয় ভাষায় খুতবা দেওয়া বিধেয় নয়। কারণ, উপায় থাকতেও ডবল খুতবা হয়ে যায় তাতে। ডিষ্টার্ব হয় নামায, তেলাওয়াত ও যিক্ররত মুসল্লীদের।
[মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৭/৭১-৭২]
উল্লেখ্য যে, কোন স্থানের জামাআতে খুতবা দেওয়ার মত কোন লোক না থাকার ফলে যদি খুতবা দেওয়া না হয়, তাহলে সেই জামাআতের লোক জুমুআহ না পড়ে যোহ্র পড়বে।
[ইবনে আবী শাইবা ৫২৬৯-৫২৭৬]
জ্ঞাতব্য যে, যিনি খুতবা দেবেন তাঁরই নামায পড়া জরুরী নয়। যদিও সুন্নত হল খতীবেরই ইমামতি করা।
[ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৪১০, ৪১৩]