ফজর নামাজ -
[মুসলিম - ১৪৫৬, ৯৬৬]
যোহর নামাজ -
[বুখারি - ৭১৭, ৫০৬, মুসলিম - ৯৬৯]
আছর নামাজ -
[বুখারি - ৭১৭, ৫৪৫]
মাগরিব নামাজ -
[মুসলিম - ৯৬৯, দারা কুতনি - ১০৬৬]
ইশা নামাজ -
[মুসলিম - ৯৬৯, সহিহ বুখারি - ৫০৮, ৫৩৮, ৯৬৯]
*জুম'আ -
জুম‘আর সালাত ২ রাক‘আত ফরয। তার পূর্বে মসজিদে প্রবেশের পর বসার পূর্বে কমপক্ষে ২ রাক‘আত ‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ এবং জুম‘আ শেষে ৪ অথবা ২ রাক‘আত সুন্নাত। উপরে বর্ণিত সবগুলিই রাসূলু্ল্লাহ (সাঃ)-এর নিয়মিত আমল দ্বারা নির্ধারিত এবং সহীহ হাদীস সমূহ দ্বারা প্রমাণিত।
[সহীহ ইবনু খুযায়মা‘সালাত’অধ্যায়, ২ অনুচ্ছেদ নাসাঈ ‘সালাত’অধ্যায়-৫,অনুচ্ছেদ-৩]
নামাজ (সালাত) ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি এবং মুসলিমদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নামাজ আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন এবং আত্মিক পবিত্রতা অর্জনের একটি উপায়।
কুরআনে নামাজের উল্লেখ
নামাজের প্রয়োজনীয়তা এবং এর পদ্ধতি কুরআনে বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে:
أَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱرْكَعُواْ مَعَ ٱلرَّٰكِعِينَ
উচ্চারণ:
আকীমুস সালাত ওয়া আতোউ যাকাত ওয়ারকা‘উ মা‘আর রাকি‘ঈন
অর্থ:
নামাজ কায়েম কর, যাকাত দাও এবং নামাজ আদায়কারীদের সাথে রুকু কর।
[সূরা আল-বাকারা ২:৪৩]
إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتْ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ كِتَٰبًۭا مَّوْقُوتًۭا
উচ্চারণ:
ইন্নাস সালাত কানা আলাল মু’মিনিনা কিতাবাম মাওকুত
অর্থ:
নিশ্চয়ই নামাজ মুসলমানদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের ফরজ
[সূরা আন-নিসা ৪:১০৩]
নামাজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ এবং মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অংশ। নামাজের ইতিহাস এবং এর প্রবর্তন মুসলিমদের ইবাদতের একটি মৌলিক অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন।
ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- (হে আল্লাহর রাসুল!) আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল কোনটি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘নামাজ’।
ইসলামের দ্বিতীয় কিবলা হলো কা'বা শরীফ। এই ক্বিবলা হলো বর্তমান মুসলমানদের ক্বিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ পরেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।
একজন মানুষের জীবনে কখন থেকে সালাত ফরয হয়? বিষয়টি জানা জরুরী। কেননা দিন দিন আমাদের বয়স বৃদ্ধি হলেও সালাত আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। যা একজন মুসলিম হিসেবে কখন কাম্য নয়! চলুন, জেনে নেওয়া যাক কখন থেকে সালাত আদায় করতে হয়। প্রথমিক কথা হচ্ছে, ব্যাক্তি কয়েকটি বিষয় পূর্ণ করলে তার উপর সালাত ফরয হওয়া
মুসলিম হওয়া: সালাত ফরয হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত বা আবশ্যক বিষয় হল ব্যক্তিকে মুসলিম হতে হবে। কেননা অবিশ্বাসী বা অমুসলিমদের উপর এই বিধান নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন...
وَ مَنۡ یَّبۡتَغِ غَیۡرَ الۡاِسۡلَامِ دِیۡنًا فَلَنۡ یُّقۡبَلَ مِنۡه
অর্থ:
আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন চায় তবে তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না।
[আলে ইমরান- ৩/৮৫; তওবা - ৯/১৭]
জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া: কোন পাগল বা যে ব্যক্তির পূর্ণ জ্ঞান নেই তার উপর সালাত ফরয নয়। যদি ব্যক্তি জ্ঞানবান হন তবে তার উপর সালাত ফরয হবে। রাসূল (সাঃ) বলেন -
رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَبْلُغَ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يعقل
অর্থ:
তিন ব্যক্তি (কিয়ামত দিবসে) দায়-দায়িত্বমুক্ত।
[তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত - ৩২৮৭]
বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়া: মুসলিম ব্যক্তি প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার উপর সালাত ফরয হয়। কেননা শিশুর উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। অর্থ্যৎ তার পাপ লিখা হবে না। সেজন্য বালেগ ব্যক্তির উপর এটি ফরয। যা ছোট বয়স থেকেই অভ্যাস করতে হয়। রাসূল (সাঃ) বলেন -
مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ سِنِين وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ
অর্থ:
যখন তোমার সন্তানদের বয়স সাত বছরে পৌঁছবে তখন তাদেরকে সালাত আদায়ের জন্য নির্দেশ দিবে। আর তাদের শাস্তি দিবে যখন তারা দশ বছরে পৌঁছবে এবং তাদের ঘুমানোর স্থান পৃথক করে দিবে।
[আহমাদ, আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭২; নায়ল ২/২২ পৃঃ]
নামাজ বলতে আমরা আল্লাহর উদ্দেশে নিজেদের সমর্পণকে বুঝি। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দিনে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ বা অবশ্যকর্তব্য। এই পাঁচ ওয়াক্ত হলো ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা।
এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কেমন করে আমাদের জন্য এল, সে কথা বুখারি শরিফে বর্ণনা করা হয়েছে।
হজরত আবু যার (রা.)–এর বরাতে একটি হাদিসে বলা হয়েছে-
তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে বর্ণনা করেন যে, ‘তিনি বলেছেন, আমি মক্কায় থাকা অবস্থায় আমার ঘরের ছাদ খুলে দেওয়া হলো। তারপর জিবরাইল (আ.) এসে আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। আর তা জমজমের পানি দিয়ে ধুলেন। এরপর হিকমত ও ইমানে ভর্তি একটি সোনার পাত্র নিয়ে এসে আমার বুকের মধ্যে ঢেলে দিয়ে বন্ধ করে দিলেন। অতঃপর হাত ধরে আমাকে দুনিয়ার আকাশের দিকে নিয়ে চললেন।
পরে যখন দুনিয়ার আকাশে আসলাম জিবরাইল (আ.) আসমানের রক্ষককে বললেন, দরজা খোলো। আসমানের রক্ষক বললেন, আপনি কে? জিবরাইল (আ.) বললেন, আমি জিবরাইল (আ.)। (আকাশের রক্ষক) বললেন, আপনার সঙ্গে কি কেউ রয়েছেন? জিবরাইল (আ.) বললেন, হ্যাঁ, মুহাম্মদ (সা.) রয়েছেন। রক্ষক তখন বললেন, তাঁকে কি ডাকা হয়েছে? জিবরাইল (আ.) বললেন, হ্যাঁ।
এরপর যখন আমাদের জন্য দুনিয়ার আসমান খুলে দেওয়া হলো, আর আমরা দুনিয়ার আসমানে প্রবেশ করলাম, তখন দেখি সেখানে একজন বসে আছেন যাঁর ডানে এবং বাঁয়ে অনেকগুলো মানুষের আকৃতি রয়েছে। তিনি ডানদিকে তাকালে হেসে উঠছেন, আর বাঁয়ে তাকালে কাঁদছেন। তিনি বললেন, স্বাগত, হে সৎ নবী ও সৎ সন্তান। আমি জিবরাইল (আ.) কে প্রশ্ন করলাম, এই ব্যক্তিটি কে? তিনি জবাব দিলেন, ইনি আদম (আ.)। তাঁর ডানে-বাঁয়ে রয়েছে তাঁর সন্তানদের রুহ। ডান দিকের লোকেরা জান্নাতি, বাঁ দিকের লোকেরা জাহান্নামি। তাই ডানে তাকালে তিনি হাসছেন, বাঁয়ে তাকালে কাঁদছেন।
এরপর জিবরাইল (আ.) আমাকে নিয়ে দ্বিতীয় আসমানে উঠলেন। তারপর এর রক্ষককে বললেন, দরজা খোলো। তখন এই রক্ষক প্রথম রক্ষকের মতোই প্রশ্ন করলেন। পরে দরজা খুলে দেওয়া হলো।’
আনাস (রা.) বলেন, ‘আবু যার (রা.) উল্লেখ করেন যে রাসুলুল্লাহ (সা.) আসমানগুলোতে আদম (আ.), ইদ্রিস (আ.), মুসা (আ.), ঈসা (আ.) ও ইব্রাহিম (আ.)-এর সাক্ষাৎ পান। তবে আবু যার (রা.) সেসব স্থান সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। শুধু এটুকু উল্লেখ করেছেন যে তিনি আদম (আ.)-কে দুনিয়ার আকাশে ও ইব্রাহিম (আ.)-কে ষষ্ঠ আকাশে পেয়েছিলেন।’
আনাস (রা.) বলেন, ‘জিবরাইল (আ.) যখন মহানবী (সা.)-কে নিয়ে ইদ্রিস (আ.)-এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ইদ্রিস (আ.) বলেন, বাহ্, ও ভাই, ও পুণ্যবান নবী। আমি (রাসুলুল্লাহ) বললাম, তিনি কে? জিবরাইল (আ.) বললেন ইনি হচ্ছেন ইদ্রিস (আ.) ।
এরপর আমি মুসা (আ.)-এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, বাহ্, হে সৎ নবী ও পুণ্যবান ভাই। আমি বললাম, ইনি কে? জিবরাইল (আ.) বললেন, ইনি মুসা (আ.) ।
অতঃপর আমি ঈসা (আ.)-কে অতিক্রম করার সময় তিনি বললেন, বাহ্, হে সৎ নবী ও পুণ্যবান ভাই। আমি প্রশ্ন করলাম, তিনি কে? জিবরাইল (আ.) বললেন, তিনি ঈসা (আ.) । তারপর আমি ইব্রাহিম (আ.)-কে পেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বললেন, বাহ্, হে পুণ্যবান নবী ও পুণ্যবান সন্তান। আমি বললাম, ইনি কে? জিবরাইল (আ.) বললেন, ইনি ইব্রাহিম (আ.) ।’
ইবনে শিহাব বলেন, ইবনে হায্ম (রহ.) আমাকে বলেছেন যে ইবনে আব্বাস ও আবু হাব্বা আল-আনসারী উভয়েই বলতেন, ‘নবী (সা.) বলেছেন, এরপর আমাকে আরও ওপরে নিয়ে যাওয়া হলো। এমন একটি সমতল স্থানে নেওয়া হলো যেখানে আমি লেখার শব্দ শুনতে পেলাম।’
ইবনে হায্ম ও আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেছেন যে ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তারপর আল্লাহ আমার উম্মতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিলেন। আমি সেটা নিয়ে ফিরে আসি। মুসা (আ.)-কে পার হওয়ার সময় তিনি বললেন, আল্লাহ আপনার উম্মতের ওপর কী ফরজ করেছেন? আমি বললাম, ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। তিনি বললেন, আপনি আপনার পালনকর্তার কাছে ফিরে যান, আপনার উম্মত তো এতটা পালন করতে পারবে না। আমি তখন ফিরে গেলাম। আল্লাহ তাআলা কিছুটা কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আ.)-কে পার হওয়ার সময় বললাম, কিছুটা অংশ (আল্লাহ) কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, আপনি আবার আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মত এটুকুও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম।
তখন আরও কিছু অংশ কমিয়ে দেওয়া হলো। আবারও মুসা (আ.)-এর কাছে গেলাম। এবারও তিনি বললেন, আপনি আবার আপনার প্রতিপালকের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এও আদায় করতে পারবে না। তখন আমি আবার গেলাম। তখন আল্লাহ বললেন, এই পাঁচটিই (পূণ্যের হিসাবে) ৫০ (বলে গণ্য হবে) । আমার কথার কোনো রদবদল হয় না। আমি আবার মুসা (আ.)-এর কাছে গেলে তিনি আমাকে আবারও বললেন, আপনার প্রতিপালকের কাছে আরেকবার যান। আমি বললাম, আরেকবার আমার প্রতিপালকের কাছে যেতে আমি লজ্জাবোধ করছি। তখন জিবরাইল (আ.) আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। সে সময় সেটি নানা রঙে রঞ্জিত ছিল। আমি এর তাৎপর্য সম্পর্কে অবগত ছিলাম না।’
আযানের উত্তরে আমাদের যা বলা উচিত
রাসূলুল্লাহ (সঃ) আযানের উত্তর প্রসঙ্গে বলেন,
إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ
অর্থ:
তোমরা মুয়াযযিনের আযান শুনলে উত্তরে সে শব্দগুলোরই পুনরাবৃত্তি করবে।
[মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭ ‘সালাত’ অধ্যায়-৪]
উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
আযানের উত্তরে যা বলবেন -
وَعَنْ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ فَقَالَ أَحَدُكُمُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ثُمَّ قَالَ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ قَالَ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ ثُمَّ قَالَ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ قَالَ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ ثُمَّ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ ثُمَّ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مِنْ قَلْبِهِ دخل الْجنَّة
অর্থ:
যারা জবাব দেবেন না -
নামাজরত, পানাহারে মগ্ন, মলমূত্র ত্যাগকারী ও স্ত্রীর সঙ্গে শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত ব্যক্তি আজানের জবাব দেবে না। ঋতুকালীন সময়ে নারীরাও আজানের উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকবে।অনেক ফিকাহবিদদের মতে আজানের পরপর যদি উল্লিখিত কাজ থেকে অবসর হওয়া যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আজানের জবাব দিয়ে দেওয়া উত্তম। কেউ কোরআন তেলাওয়াতে থাকলে সাময়িক তেলাওয়াত বন্ধ রেখে আজানের জবাব দেওয়া উত্তম।