ইতিকাফের ১০টি জরুরি মাসায়েল

ইতিকাফের ১০টি জরুরি মাসায়েল
রমজান মাসের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করা অনেক সাওয়াবের কাজ। তবে শর্ত হলো- ইতিকাফ হতে হবে বিশুদ্ধ সুন্নাহ অনুযায়ী। অনেক সময় আমাদের ভুলের কারণে অতি কষ্টের ইবাদত ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যায়। ইতিকাফকারীকে জানতে হবে ইতিকাফের সময় কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। কী করলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে, আর কী করলে ইতিকাফের ফায়দা পাওয়া যাবে। তাই আসুন, আজ জেনে নেই ইতিকাফের ১০টি জরুরি মাসায়েল।
১. বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী নিয়ত করা ছাড়া ইতিকাফ সহিহ হবে না। হেদায়া ও কুদুরী।
২. রমজান মাসের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়াহ। যদি কোনো মসজিদে একজন ইতিকাফে বসেন তাহলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। আর যদি কেউ ইতিকাফ না করে তাহলে ওই এলাকার সবাই সুন্নাত তরক করার জন্য গুনাহগার হবে। বাহরুর রায়েক।
৩. পুরুষের ইতিকাফ সহিহ হওয়ার জন্য জামে মসজিদ হওয়া জরুরি। মসজিদ ছাড়া ঘরে ইতিকাফ সহিহ হবে না। তাই ইতিকাফে বসতে চাইলে মসজিদেই বসতে হবে। সুনানে আবু দাউদ।
৪. ইতিকাফ একটি ইবাদত, যা বিনিময়যোগ্য নয়। তাই ইতিকাফের জন্য পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েজ নয়। কাউকে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ইতিকাফ করালে সে ইতিকাফ সহিহ হবে না। হেদায়া ও রদ্দুল মুহতার।
৫. মসজিদে খাবার পৌঁছে দেওয়ার মতো কেউ না থাকলে খাবার আনার জন্য আপনি বাসায় যেতে পারবেন। এ কারণে ইতিকাফ ভঙ্গ হবে না। তবে খাবার আনার জন্য মসজিদ থেকে বের হয়ে অন্য কোনো কাজে বিলম্ব করা যাবে না। অবশ্য খাবার প্রস্তুত না হলে সেজন্য অপেক্ষা করতে পারবেন। বাহরুর রায়েক ও তাবয়ীনুল হাকায়েক।
৬. ইতিকাফরত ব্যক্তি পেশাব-পায়খানার জন্য মসজিদের বাইরে গেলে আসা যাওয়ার সময় সালাম আদান-প্রদান করতে পারবে। এ সময় কারো সাথে অল্পস্বল্প কথাও বলতে পারবে। এতে ইতিকাফের ক্ষতি হবে না। মিরকাতুল মাফাতিহ ও ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া।
৭. পাঞ্জেগানা মসজিদে ইতিকাফকারী জুমার নামাজ আদায় করার জন্য জামে মসজিদে যেতে পারবে। তবে নামাজ শেষে বিলম্ব না করে ফিরে আসতে হবে। ফতোয়ায়ে আলমগীরী।
৮. ইতিকাফকারী যদি রাতে অথবা দিনে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত সহবাস করে তাহলে ইতিকাফ বাতিল হয়ে যাবে। হেদায়া ও কুদুরী।
৯. মহিলারা যে কক্ষে ইতিকাফ করতে চাচ্ছেন, ওই কক্ষকে আপাতত তার নামাজের ঘর হিসেবে নির্দিষ্ট করে নিতে হবে এবং ইতিকাফের পূর্ণ সময় এ ঘরেই অবস্থান করতে হবে। ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ও আদ্দুররুল মুখতার।
১০. স্বামীর অনুমতি ছাড়া মহিলাদের ইতিকাফ জায়েজ হবে না। মহিলাদের মাসিক শুরু হওয়ার কারণে ইতিকাফ ভেঙ্গে যায়। ফতোয়ায়ে রহিমিয়া।