হজ্ব ও ওমরার সর্বপ্রথম কাজ ইহরাম
হজ্ব অথবা ওমরার কাজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার নিয়ত করা। এর সময় হল: ওমরার জন্য বছরের যে কোন সময়। হজ্বের জন্য হজ্বের নির্ধারিত মাস সমূহ। সেগুলো হল-
শাওয়াল, যুলকা'দা এবং যুলহজ্বের প্রথম দশ দিন।
মীকাত হতে ইহরামের কাপড় পরলেই হজ্ব ও ওমরার মূল কাজসমূহ শুরু হয়ে যায়। সুতরাং, হজ্ব ও ওমরার ইচ্ছায় কোন ব্যক্তি যখন স্থলপথে গাড়ী বা অন্য কোনভাবে মীকাত পৌঁছবেন, তাঁর জন্য মুস্তাহাব হলো: গোসল করা, সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করা। তবে গোসল না করলেও হজ্ব অথবা ওমরার কোন ক্ষতি হবে না। এরপর পুরুষগণ দুটি পরিষ্কার সাদা ইজার ও চাদর ইহরামের পোষাকস্বরুপ পরবে। মহিলাদের ইহরামের জন্য আলাদা কোন পোষাক সুন্নত নয়। বরং তারা পুরো শরীরের পর্দা রক্ষা হয় এমন যেকোন পোষাক পরতে পারবে। তবে তা যেন সাজ-সজ্জা প্রদর্শনের জন্য না হয়।
•শুধুমাত্র ওমরার জন্য:
"লাব্বাইকা ওমরাহ"
•তামাকু হজ্বের জন্য
"সাব্বাইকা ওমরাতান মুতামাতিয়ান বিহা ইলাল হজ্ব"
•কেরান হজ্বের জন্য
"লাব্বাইকা ওমল্লাতান ওয়া হাচ্ছা"
•ইফরাদ হজ্বের জন্য
"লাব্বাইকা হাজ্জা"
আর তালবিয়া শুরু করার সাথে সাথেই সে হজ্ব অথবা ওমর- কাজ শুরু করার ঘোষণা দিল। আর যদি উড়োজাহাজে অথবা সমুদ্রপথে আসে তবে চিরাচরিত নিয়ম হচ্ছে: বিমান ও জাহাজের চালকগণ মীকাত নিকটবর্তী হলে ঘোষণা দিয়ে থাকে, যেন হজ্ব ও ওমরার যাত্রীগণ ইহরামের পোষাক পরে প্রস্তুতি নিতে পারে। অতঃপর, উড়োজাহাজ যখন মীক্বাত বরাবর আসবে, তখনই হজ্ব অথবা ওমরার নিয়ত করে বেশী বেশী তালয়্যিাহ পড়তে থাকবে। উল্লেখ্য: ইহরামের কাপড় বাড়ী থেকে পরে আসলেও কোন সমস্যা নেই। এমতাবস্থায়, বিমান অথবা জাহাজে যখন মীক্বাত পৌঁছার বিষয়টি জানতে পারবে, তখন শুধুমাত্র তালবিয়্যা পড়ে হজ্ব বা ওমরার কাজ শপুরুষগণ তালবিয়্যাহ পড়বেন উচ্চস্বরে আর মহিলাগণ পড়বেন নিম্নস্বরে।ুরু করে দিবে।
•নখ কাটুন, গোঁফ ছোট। 'করুন, বগল ও নাভীর নিচের লোম পরিষ্কার করুন।
•সম্ভব হলে গোসল করে নিন। তবে গোসল না করলেও কোন ক্ষতি নেই। গোসল করা নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই সুন্নাত। এমনকি নারীরা ঋতু অথবা প্রসব পরবর্তী অপবিত্র অবস্থায়ও গোসল করা সুন্নাত।
•পুরুষগণ সেলাই করা সমস্ত কাপড় খুলে সেলাইবিহীন ইহরামের পোষাক পরবেন।
•মহিলাগণ নিকাব ও হাত মোজা খুলে ফেলবে। মাহরাম ব্যতীত অন্যান্য পুরুষ থেকে পর্দা করার জন্য ওড়না দিয়ে চেহারা ও মাথা ঢেকে রাখবে। এতে ওড়না মুখের সাথে লাগা দোষণীয় নয়।
•গোসলের পর সুযোগ হলে পুরুষ শুধু শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করবে। ইহরামের পোষাকে কোন সুগন্ধি ব্যবহার করবে না।
•মহিলাগণ এমন সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে, যার সুভাষ বাহিরে ছড়ায় না।
•উপরোক্ত কাজগুলো শেষ করে ইচ্ছানুযায়ী যে কোন প্রকার হজ্ব অথবা ওমর- ার কাজ শুরু করার নিয়ত করবে। নিয়ত করলে তার ইহরাম সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, যদিও মুখে কিছুই উচ্চারণ না করে। ইহরামের নিয়ত ফরজ সালাতের পরে হলেই ভালো। যদি ফরজ সালাতের সময় না হয়, আর তাহিয়্যাতুল অযুর নিয়তে দু'রাকাত সালাত পড়ে নেয়, তাতেও কোন বাধা নেয়। আর যদি হজ্ব অথবা ওমরা অন্য কারো পক্ষ থেকে করার ইচ্ছা করে, তাহলে অন্যের পক্ষ থেকে নিয়ত এভাবে করবে।" লাব্বাইক আল্লাহুম্মা আন ফুলান"। উল্লেখ্য: "...আন ফুলান" এর স্থানে থেকে হজ্ব বা বামিরার নিয়ত করা হচ্ছে তার নাম উচ্চারণ করবে। যেমন: লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা হাজ্জান/ ওমরাতান আন মুহাম্মদ।
দেহে, কাপড়ে, খাবার ও পানিতে সুগন্ধি ব্যবহার করা। সুগন্ধিযুক্ত সাবান, শ্যাম্পু ও পাউডার ব্যবহার করা। (ইহরাম করার আগের কোনো সুগন্ধি যদি দেহে থাকে তবে তাতে কোনো দোষ নেই, তবে কাপড়ের সুগন্ধি ধুয়ে ফেলতে [সহীহ মুসলিম: ৪/৩৮৭,৩৮৮]
[সূরা আল-মায়েদা ৫:৯৬, ৯৭]
অন্যের খোঁয়া যাওয়া কোনো জিনিস বা পরিত্যাক্ত কোনো বস্তু কুড়িয়ে নেওয়া। তবে মূল মালিক জানা থাকলে তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তুলে নেওয়া যাবে। এটাও ইহরাম ও ইহরাম ছাড়া উভয় অবস্থার জন্যই প্রযোজ্য।
হবে।)
ে না। া। /২০৯] করে।
[সূরা আল-বাকারা: ১৯৬]