ইসলামের ফরজ পাঁচটি। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি: আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই, হযরত মুহম্মদ (সা.) তার বান্দা ও রাসূল এ কথার সাক্ষ্য দেয়া, সালাত (নামাজ) কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, বায়তুল্লাহর হজ করা এবং মাহে রমজানে রোযা রাখা
তবে ফরজ ইবাদত সমূহের মধ্যে যাকাত ও হজের ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্যের বিধান রয়েছে। অর্থ্যাৎ প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য হজ পালন করা অত্যাবশকীয়। ‘প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর বায়তুল্লাহর হজ করা '
আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের ওপর হজ হজ ফরজ হওয়ার শর্তসমূহ-
• মুসলমান হওয়া
• জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া
• প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
• স্বাধীন হওয়া
• সামর্থ্য থাকা
ইরশাদ করা হয়েছ-
‘‘মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্জ্ব করা তার (পক্ষে) অবশ্য কর্তব্য।"
বলে রাখা প্রয়োজন, অনেক ক্ষেত্রে যাকাত ফরজ না হয়েও হজ ফরজ হতে পারে। তবে হজ ও যাকাতের ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্য থাকা আবশ্যক। হজ ও যাকাতের কিছু পার্থক্য রয়েছে। যাকাতের সঙ্গে নিসাবের সম্পর্ক। যে পরিমাণ অর্থ থাকলে যাকাত ফরজ হয়, তাকে নিসাব বলে।
আর মক্কায় গিয়ে আবার ফিরে আসা পর্যন্ত সামর্থ্য থাকলে হজ ফরজ হয়। কেউ যদি সম্পদ অথবা স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে হজে যায় আবার হজ থেকে ফিরে এসে বাকি সম্পত্তি দিয়ে জীবন নির্বাহ করতে পারে তবে তার ওপর হজ ফরজ।
হজের শাব্দিক অর্থ ‘কোনো মহৎ কাজের ইচ্ছা করা’। পরিভাষায় ‘নির্দিষ্ট দিনে হজের নিয়তে ইহরাম অবস্থায় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা এবং বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা।’
সর্বপ্রথম পৃথিবীতে হজ পালন করেন হজরত আদম (আ:)। বিভিন্ন তাফসির গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, হজরত আদম আ: আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে ফেরেশতাদের মাধ্যমে পবিত্র মক্কা নগরীতে এসে বায়তুল্লাহর ভিত্তি স্থাপন করেন এবং হজ পালন করেন। এর পর থেকেই হজের ধারাবাহিকতা চলতে থাকে।
আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত-
রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন- ‘হজরত আদম (আ:) যখন পৃথিবীতে অবতরণ করেন তখন তিনি কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করেন। অতঃপর বর্তমানে যেটি মাকামে ইবরাহিম সেখানে দু’রাকাত সালাত আদায় করেন এবং কাকুতি-মিনতি করে প্রভুর দরবারে দোয়া করেন।’